|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৩৮ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:২০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২৫ পালিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা-গড়বে আগামীর শুদ্ধতা


চট্টগ্রামে দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২৫ পালিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা-গড়বে আগামীর শুদ্ধতা


হোসেন বাবলা-চট্টগ্রাম,৯ ডিসেম্বর:

 



 

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চট্টগ্রামের আয়োজনে নগরীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও একাডেমির মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 


 

জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

 


 

উক্ত অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রামের পরিচালক রিজিয়া খাতুন, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আহসান হাবীব পলাশ,চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম,   অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুজ্জমান, চট্টগ্রাম মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব  উপস্থিত ছিলেন।
 

এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী শিক্ষার্থী, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃকিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 
 

দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২৫। আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা এমন একটা অঞ্চলে বাস করি, যেখান দিয়ে মাদক দ্রব্য আমাদের দেশে আসে। এর একটা বড় রুট হচ্ছে মিয়ানমার এবং রুটটা পার হওয়ার পরেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো । 


বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে সেখানে মসজিদের অনেক ইমাম আছেন, তারা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত। তো তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে তারা কিন্তু এটাকে অপরাধ মনে করে না। এদের সংজ্ঞাটা 
হচ্ছে ইয়াবা একটা মাদক তা আমরা ধর্মগ্রন্থে পাইনি। আর আমি তো একটা জিনিস নিয়ে  আরেকজনের কাছে পৌছে দিচ্ছি। সে আমার পারিশ্রমিক দিচ্ছে। এটা কি করে একটা অন্যায় দুর্নীতি হতে পারে। ফলে দুর্নীতির একটা সংজ্ঞাগত সমস্যা আছে। 

 

ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেন, আমাদের প্রতিবছর একটা করে ইন্ডেক্স হয়, কোন দেশ কত দুর্নীতিগ্রস্থ। এখন সবার নিম্নে  আছে আফগানিস্তান, তার একটু উপরে আমরা। এখানেও সমস্যা আছে। দুর্নীতির যারা ইন্ডেক্স তৈরি করে। তাদের আবার মাপকাঠি আলাদা। তাদের মাপকাঠি দিয়ে আমাদেরকে বিচার করে। 
দেখা যায় যে আমরা একসময় দুর্নীতিতে কিন্তু অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু সেই সময়েও আমাদের দেশের অর্থ আরেক দেশে চলে যায়নি। আমাদের ব্যাংকগুলো  শূন্য হয়ে যায়নি। 


অথচ আমরাদের এখন ভালো বলে তারাই সার্টিফিকেট দিচ্ছে যখন আমাদের দেশটা একদম শূন্য হয়ে গেছে। ফলে একটা সংজ্ঞাগত সমস্যা কিন্তু আমাদের আছে দুর্নীতির মধ্যে। আমাদের সংজ্ঞাটা হচ্ছে এ দেশের জনগণকে যা ক্ষতি করে, রাষ্ট্রের যেটা ক্ষতি করে সেটাই হচ্ছে আমাদের কাছে দুর্নীতি।

 
কমিশনার আরো বলেন, এখন দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে আমরা অনেক মতামত পেয়েছি। আমাদের অনেকের অনেক নিজস্ব মতামত রয়েছে। তো প্রত্যেকটা বিষয় কিন্তু আংশিকভাবে সত্য এবং সেটা যদি প্রয়োগ হয় তাহলে কিন্তু আমরা দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে পারব। যেমন আমাদের সবচেয়ে বেশি  সহযোগিতা করতে পারে প্রযুক্তি। প্রযুক্তি হচ্ছে আলাদিনের চেরাগ। যেটা আমাদের দুর্নীতিমুক্ত একটা সমাজ গঠন তথা রাষ্ট্র গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা  রাখতে পারে। 

 

দুদকের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক রিজিয়া খাতুন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আহসান হাবীব পলাশ, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ূন কবীর, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. সিরাজুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মো. সাইদুজ্জামান।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫