ঢাকা শহরের অলি-আউলিয়ার সম্পদ এবং জনগণের কল্যাণ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৩৪ অপরাহ্ণ   |   ৪৭ বার পঠিত
ঢাকা শহরের অলি-আউলিয়ার সম্পদ এবং জনগণের কল্যাণ

বন্ধু,

ঢাকা শহরে সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রহ) এর পাগলের জন্য জানমতে প্রায় ৩২ একর জমি রয়েছে। এটি হতে পারে আরও বেশি।
 

মাজারে দানের টাকা এবং এই সম্পত্তি থেকে দৈনিক আয় ন্যূনতম পাঁচ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসে আয় দাঁড়াবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। কেউ কেউ মনে করেন, আসল আয় ন্যূনতম দ্বিগুণ, অর্থাৎ মাসিক আয় হতে পারে ৩০০ কোটি টাকা। তাহলে বাৎসরিক আয় দাঁড়ায় ৩,৬০০ কোটি টাকা।
 

এতো টাকার হিসাব আমাদের জন্য জটিল, এবং প্রকৃত হিসাব-নিকাশ করার ক্ষমতা আছে কেবল দক্ষ লোকদের। কিন্তু আমরা জানি, টাকা কাজে লাগালে আরও টাকা আসে। দৈনিক কোটি টাকা যদি উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে আয়ের বৃদ্ধি শুধু বাড়তেই থাকবে।
 

তাহলে বন্ধু, কল্পনা করো—এই পরিমাণ টাকা দিয়ে পুরো ঢাকা শহরের ছিন্নমূল, অসহায়, ভাসমান জনগোষ্ঠীকে স্বচ্ছল করা যায় কত দ্রুত? রাজধানীর উঁচু ভবন, কোটি টাকার গাড়ির ভিড়ে মানুষকে রাস্তা, ফুটপাত, খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করতে দেখে কি আমাদের ভাল লাগে?
 

দেশের প্রতিটি অলি-আউলিয়ার কাছে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদের প্রকৃত হকদার হলো দেশের পাগল, ফকির, বাউল, দুঃখী ও অসহায় জনগণ।
 

সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সকল গরীব ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান পরিবর্তন করা সম্ভব।
 

সমস্যা হলো—যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মাজারের রক্ষক, তারা অনেক ক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। গরীবদের হক চুরি করে নিজেরাই বিলাসী জীবনযাপন করেছে।
 

চোরকে সরাতে হবে।
দেশের মানুষ উপকৃত হলে উপকৃত হবে সরকার। মানুষের কল্যাণ মানেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন।

 

মাজারগুলো হতে পারে দেশের উন্নয়নের এক যাদুকরী ক্ষেত্র। শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক নীতি প্রয়োজন।