রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আয়েশাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তা গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার অপর আসামি ও আয়েশার স্বামী রাব্বি শিকদারও আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, গত ১০ ডিসেম্বর সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে আয়েশা ও রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালত আয়েশার ছয় দিন এবং রাব্বির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন আয়েশা। ৮ ডিসেম্বর সকালে আজিজুল কর্মস্থলে যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলা চালানো হয়। সকাল ১১টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি স্ত্রীকে গলাকাটা অবস্থায় মৃত এবং মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় পান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মেয়েকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশা বাসায় প্রবেশ করেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে বেরিয়ে যান। তদন্তে জানা গেছে, এই সময়ের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও মেয়েকে হত্যা করা হয় এবং ওই ফ্ল্যাটে লুটপাট চালানো হয়।