ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের’ দমনে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ–২’ চালুর সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
 

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
 

তিনি জানান, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এ লক্ষ্যে কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ–২’ অবিলম্বে চালু করা হচ্ছে।
 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
 

তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে এবং বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
 

উপদেষ্টা বলেন, এ হামলা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস। নির্বাচন বানচালের যেকোনো চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হাতে দমন করবে। তিনি জনগণের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, হামলায় জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।
 

অস্ত্রের লাইসেন্স প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এতদিন মূলত সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হতো। এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যারা লাইসেন্স চাইবেন, তাদের ক্ষেত্রেও তা বিবেচনা করা হবে।
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে এবং তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
 

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএমসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।