|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৩৮ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৩:১৪ অপরাহ্ণ

বহিষ্কারের আড়াই বছর পর আবার বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান দোলন


বহিষ্কারের আড়াই বছর পর আবার বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান দোলন


আড়াই বছরের বিরতির পর আবারও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর সভাপতি হয়েছেন এনামুল হক খান দোলন। তিনি ২০২৫-২৭ মেয়াদের জন্য সংগঠনকে নেতৃত্ব দেবেন। গত ৩০ অক্টোবর বাজুসের দুই বছরের মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দোলন সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের মালিক এবং এর আগেও এক মেয়াদে বাজুসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
 

নির্বাচনের ফলাফল আজ সোমবার রাজধানীর নিউ স্কাটন রোডে বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।
 

নাসরিন ফাতেমা আউয়াল জানান, তপশিল অনুযায়ী সভাপতি পদে একজন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে একজন, সহসভাপতি পদে তিন জন, কোষাধ্যক্ষ পদে একজন এবং পরিচালক পদে ২৯ জন বৈধ প্রার্থী থাকায়, কোনো প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারার অনুযায়ী সব ৩৫ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
 

নির্বাচিতদের মধ্যে সিনিয়র সহসভাপতি পদে রয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের মালিক রণজিৎ ঘোষ, সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আপন ডায়মন্ড হাউজের স্বত্বাধিকারী আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজের স্বত্বাধিকারী অভি রায় ও জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের মালিক ইকবাল হোসেন চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্সের মালিক অমিত ঘোষ। এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত না হওয়ায় সাধারণ সম্পদ পদ প্রথমবারের মতো বাতিল করা হলো।
 

এর আগে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এনামুল হক খান দোলনকে সংগঠনটির সব দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে বহিষ্কারের কারণ বাজুস জানায়নি। প্রায় আড়াই বছর পর আবারও তিনি বাজুসের সভাপতি নির্বাচিত হলেন।
 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় নতুন সভাপতি এনামুল হক দোলন বলেন, “দলমত নির্বিশেষে সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করব বাজুস দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
 

স্বর্ণ আমদানি সহজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, “জুয়েলারী ব্যবসায়ীরা চোরাকারবারি নয়। ব্যবসা আর চোরাকারবারি দুইটা আলাদা জগত। যারা চোরাকারবারি করে তারা কখনো স্বর্ণ ব্যবসায় আসবে না।” তিনি আরও বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত সহজে স্বর্ণ আমদানি সম্ভব হবে না, ততদিন ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণ সংগ্রহ করা হবে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা দরকার।”
 

সংবাদ সম্মেলনে নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, “এক সময় দেশে সব জুয়েলারি তৈরি হতো। এখন অধিকাংশ মানুষ গহনা বিদেশ থেকে কিনে আনে। ভবিষ্যতে আশা করছি দেশে তৈরি হবে উন্নত মানের গহনা এবং মানুষ সেগুলো কিনবে।”
 

সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির পরিচালক ও সাবেক পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫