দাউদকান্দিতে ৩ কোটি টাকার দেনাদারিতে উত্তেজনা, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৫৬ অপরাহ্ণ   |   ৩১ বার পঠিত
দাউদকান্দিতে ৩ কোটি টাকার দেনাদারিতে উত্তেজনা, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

কাউছার সরকার (বিশেষ প্রতিনিধি) কুমিল্লা:-

 

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। গজারিয়া উপজেলা মুন্সিগঞ্জের বালুয়াকান্দি আড়ালিয়া গ্রাম থেকে প্রায় ৪০–৫০ জন নারী ও পুরুষ বাস ভাড়া করে দাউদকান্দিতে এসে জহিরুল ইসলামের ছেলে জাকির মিয়ারের স্ত্রী সুমিকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় প্রায় ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার দেনাদারি নিয়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, সুমি আগে মুন্সিগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সেখানে ফুচকা দোকান চালাতেন। ওই সময় তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়েছিলেন এবং পরে দাউদকান্দিতে চলে আসেন। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা বাস ভর্তি দল উপস্থিত হলে জাকির মিয়া তার স্ত্রীকে তুলে নেওয়া থেকে রক্ষা করতে না পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটকান।
 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে সুন্দলপুর ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা তুষার, শ্রমিক দলের সভাপতি রাজ্জাক ফকির ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আল-আমিনের প্রচেষ্টায় বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।
 

ওয়ার্ড মেম্বার আল-আমিন জানান, কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীরা তার কাছে বিচার চেয়েছিলেন এবং প্রমাণ আনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। উল্লেখ্য, সুমির বিরুদ্ধে ষোলপাড়া গ্রামের ১০–১২ জনের কাছ থেকে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: দশপাড়া গ্রামের সাদেক মিয়ার স্ত্রী, রশিদের মিয়ার স্ত্রী, মোতালেব সরকার, শিমুল টেলিকম, কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী, ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী সহ আরও অনেকে।
 

পুলিশ জানিয়েছে, উভয় পক্ষের তথ্য যাচাইয়ের পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।